যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, জমায়েত হোয়াইট হাউসের বাইরেও

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, জমায়েত হোয়াইট হাউসের বাইরেও

Apr 20, 2025 - 15:13
 0  26
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, জমায়েত হোয়াইট হাউসের বাইরেও

ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে শনিবার আবারও হাজার হাজার মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ট্রাম্পের কট্টর নীতিমালার প্রতিবাদে এটিই সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয় দফার বড় ধরনের বিক্ষোভ। মূলত অভিবাসন, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই এবং ফিলিস্তিন ও ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন প্রসাশনের নীতিতে ক্ষুদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন মানুষ। খবর রয়টার্সের।

গণমাধ্যমের ফুটেজে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউসের সামনে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়েছেন। সেসব প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে লেখা রয়েছে - ‘শ্রমিকের ন্যায্য ক্ষমতা থাকা উচিত’, ‘কোনো কিংশিপ নয়’, ‘ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করুন’সহ বিভিন্ন স্লোগান।

কিছু বিক্ষোভকারী অভিবাসীদের সমর্থনে স্লোগান দেন, যাদের ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাসিত করেছে বা নির্বাসনের চেষ্টা করছে। তারা দাবি করেন, আমেরিকায় বসবাসরত মানুষদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র নিপীড়ন চালাচ্ছে যা আইনের শাসনের মৌলিক ধারণার ওপর সরাসরি আঘাত। বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল সরকারের ছাঁটাই হওয়া ব্যক্তি ও ফান্ড বাতিল করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

হোয়াইট হাউসের কাছে লাফায়েট স্কয়ারে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ট্রাম্প ও তার প্রশাসন অভিবাসীদের বের করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় প্রতিবেশীদের বাঁচাতে আমরাও নেটওয়ার্ক এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’

কোনো কোনো বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াতে এবং ফিলিস্তিনি রুমাল কেফিয়েহ গলায় জড়াতে দেখা গেছে। তারা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদ জানান। অনেকে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন মুক্ত’ বলে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীদের কাউকে কাউকে ইউক্রেনের পতাকা বহন করতে দেখা গেছে। তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আরও কঠোর হতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতি গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন গঠন করা সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন ইলন মাস্ককে। এরপর থেকে তার দল কেন্দ্রীয় সরকারের ২৩ লাখ কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখের বেশি পদ শূন্য করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে। তাদের অনেককে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এসব শিক্ষার্থীদের অনেকে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। বর্তমান প্রশাসনের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য নীতি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো ট্রাম্পের এসব নীতি সমালোচনা করে আসছে।

এদিন নিউইয়র্ক সিটি, শিকাগোসহ আরও কয়েক ডজন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশব্যাপী এটি দ্বিতীয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভের সময় ওয়াশিংটন মনুমেন্টের পাশে বিভিন্ন ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ঘৃণা কোনো জাতিকে মহান করে না’, ‘সবার জন্য সমান অধিকার মানে আপনার অধিকার কমে যাওয়া নয়।’

এই আন্দোলনের প্রধান সংগঠক ‘৫০৫০১’— যার অর্থ ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ এবং একটি সম্মিলিত আন্দোলন। শনিবার সারাদেশে তাদের প্রায় ৪০০টি বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow